বাংলাদেশে আনঅফিসিয়াল ফোনের বিশাল বড় একটা মার্কেট আছে। আর গ্রাহক চাহিদা বলতে গেলে অফিসিয়াল ফোনের থেকে আনঅফিসিয়াল ফোনের চাহিদাই বেশি। বর্তমান জেনারেশন, বিশেষ করে যারা এসব বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করে ও গেমারদের মাঝে এসব ফোনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
আর তার মধ্যে চাইনিজ ফোন গুলো চাহিদা অন্যান্য ব্র্যান্ড থেকে বেশি। কারন চাইনিজ ফোন গুলোতে কম দামে অনেক বেশি পাওয়া যায়। দাম অনুযায়ী অন্যান্য বড় বড় ব্র্যান্ড, Samsung, Apple, ইত্যাদি থেকে এসব ফোন ফিচার ও হার্ডওয়্যার এর দিক থেকে অনেক বিশি এগিয়ে থাকে। বিশেষ করে খুবই কম দামে, ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের প্রসেসর, বিশাল ব্যাটারি, এমোলেড ডিসপ্লে, ৩০-১২০+ Watt পর্যন্ত ফাস্ট চার্জিং, ইত্যাদি।
তাছাড়া এসব ফোনের চাহিদা বেশি হবার অন্যতম আরেকটা কারন হচ্ছে, বক্সে অফিসিয়াল চার্জার, ক্যাবল, ইত্যাদি দেয়া থাকে। যেখানে অন্যান্য নামিদামি ব্র্যান্ড লাখ-লাখ টাকার ফোনের সাথেও কিছু দেয় না। যার কারনে আমাদের বাধ্য হয়ে আলাদা চার্জার কিনতে হয়, যা ফোনের সাথে ভালো ভাবে অপটিমাইজ না হওয়ার কারনে ফোন ওভারহিট, ব্যাটারি ড্যামেজ, ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেয় আর সাথে পাবেন ফ্রি, Green Line, Pink Line, White Screen মত সমস্যা।
বাংলাদেশে যেসব আনঅফিসিয়াল চাইনিজ ফোন আসে, Xiaomi, OnePlus, Huawei, Oppo, Vivo, Realme, Lenovo, Meizu, Tecno, ZTE, ইত্যাদি। তার মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা বেশি বলতে গেলে Xiaomi এর। আর এখন এসব ফোনের মাঝে Vivo এর iQOO সাব-ব্র্যান্ডের ফোন গুলো আস্তে আস্তে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পারফরমেন্স লাভার ও গেমারদের মাঝে এই ফোনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
কারন iQOO Chinese Variant এর ফোনগুলোতে নামে মাত্র দামে অনেক বেশি ফিচার পাওয়া যায়। বিশেষ করে Performance এর দিক থেকে একদম টপ নচ প্রসেসর পাবেন। যেমনঃ আমি রিসেন্টলি iQOO Z9 Turbo Endurance ফোনটা কিনেছি, যেটার দাম পরেছে ৩০ হাজার টাকা। বিভিন্ন শপে আরো কমেও পাবেন, ২৮-২৯ হাজার। এতে আছে Snapdragon 8s Gen 3 প্রসেসর ও Adreno 735 GPU, 6400 mAh Battery, 80 Watt Super Fast Charging.

এই ফোনে আমি নরমাল ইউজে ১২-১৩ ঘণ্টা ব্যাকাপ পাই। আর Game খেললে ৬-৭ ঘণ্টা বা আরো বেশিও পাবেন, কতক্ষণ বা কি গেম খেলছেন সেটার উপর নির্ভর করে। তাছাড়া আমি High Refresh Rate (120-144hz) ইউজ করি, রিফ্রেশ রেট কমিয়ে রাখলে অনায়াসে ১৫+ ঘণ্টা ব্যাকাপা পাওয়া যাবে।
এবার চিন্তা করুনতো, যদি একই স্পেসিফিকেশনের Samsung বা OnePlus এর ফোন কিনতে যান তাহলে দাম কত পরবে? ৫০-৬০ হাজারের নিচে তো আনঅফিসিয়ালই পাবেন না আর অফিসিয়াল এর কথা নাহয় বাদই দিলাম।
কিভাবে Vivo/iQOO Chinese Variant ফোনের Activation Date ও Authenticity চেক করবেনঃ

এবার আসল কথায় আসা যাক। মূল টপিকের বাইরে মনেহয় একটু বেশিই বলে ফেলেছি। আচ্ছা যাক সেই কথা। এখন চলেন জেনে নেয়া যাক কিভাবে চাইনিজ ভ্যারিয়েন্ট Vivo/iQOO ফোনের Activation Date ও Authenticity চেক করবেন। আমি দুইটা মেথড দেখাবো। দুইটাতেই আপনি খুব সহজে এগুলো চেক করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখা যাক মেথড গুলো।
১। অফিসিয়াল চাইনিজ ওয়েবসাইট থেকেঃ
প্রথমে দেখাব কিভাবে Vivo এর অফিসিয়াল চাইনিজ ওয়েবসাইট থেকে চেক করবেন। যেহেতু এসব ফোন গুলো চীনের জন্য বানানো আর দেশে আনার আগে এগুলো চীন থেকে কিনে তারপর আনা হয়, সেহেতু আপনি চাইনিজ ওয়েবসাইট থেকে এগুলোর, Activation Date, Authenticity, Color, Warranty Expiration Date, ইত্যাদি চেক করতে পারবেন।
- প্রথমে https://support.vivo.com.cn/service/authenticityCheckএই ওয়েবসাইট টা ওপেন করুন। ওপেন করার পর সেখানে নিচের মত একটা ইনপুট সেকশন দেখতে পাবেন।

- ইনপুট সেকশনে আপনার ফোনের IMEI Code দিয়ে এন্টার দিন, Captcha আসতে পারে। ক্যাপচা পূরণ করলেই পরবর্তী পেজে আপনার ফোনের কাঙ্ক্ষিত ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন। নিচের ছবিতে দেখুন আমার ফোনের ইনফো চলে আসছে।
ছবিতে দেখুন আমার ফোনের Activation Date, Color, Model, RAM/ROM, Warranty, ইত্যাদি সব ইনফরমেশন দেখাচ্ছে।

তো এভাবেই আপনারা নিজে নিজে ওয়েবসাইট থেকে চেক করতে পারবেন। আর এই মেথডের অন্যতম একটা সুবিধা হচ্ছে দোকানে ফোন কিনতে গেলে কিনার আগে দোকানে দাঁড়িয়েই আপনারা সবকিছু চেক করে আনতে পারবেন।
২। Vivo ফেসবুক পেজ থেকেঃ
উপরের মেথডে অনেক সময় কাজ করে না। বিশেষ করে যদি, ওয়েবসাইট যদি বিজি থাকে বা পিক আওয়ারে অনেক সময় সমস্যা করে।

তাই ওয়েবসাইট সমস্যা করলে আপনি এই মেথডে চকে করতে পারবেন। তাহলে দেখা যাক কিভাবে Vivo ফেসবুক পেজ থেকে চেক করবেন।
- প্রথমে, Vivo Official Facebook Page – এ একটা মেসেজ দিন। মেসেজ দেয়ার পর কিছুক্ষন পরেই দেখবেন একজন এজেন্ট আপনাকে রিপ্লাই করবে।
- রিপ্লাই করার পর আপনি “I want to check my phone’s activation date and verify if the phone is original” এটা লিখে পাঠাবেন।
- তারপরের রিপ্লাইতে তারা আপনার ফোনের IMEI Code চাইবে। IMEI দেয়ার ২-৩ মিনিটের মধ্যেই আপনার ফোনটি অরিজিনাল কিনা এবং একটিভেশন তারিখ কত তা জানিয়ে দেয়া হবে।

- আর যদি কোন সমস্যা থাকে বা কেন Activation Date দেখাচ্ছে না, কি করতে হবে সেটাও তারা বলে দিবে।

আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আশা করি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন, তারপরও যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমার ওয়েবসাইট থেকে পোস্ট টি পড়ুনঃ
এই ক্যাটাগরিতে আগের পোস্টঃ




